Style Options
এতদ্বারা অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, আখেরী চাহার সোম্বা উপলক্ষে আগামী ২০/০৮/২৫ খ্রিঃ অরিখ রোজ বুধবার বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে । আগামী ২১/০৮/২৫ খ্রিঃ তারিখ রোজ বৃহঃস্থপতিবার বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে  |  চাচই ধানাইড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়।  |  

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

Displaying 1-1 of 1 result.

বিদ্যালয় সম্পর্কীত তথ্য

চাচই ধানাইড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি একটি শুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার আন্তর্গত ছায়াঘেরা পাখি ডাকা তাল তমালে পরিবেষ্ঠিত মুধুমতি বিধৌত পলল সমৃদ্ধ ঢাকা ভূমি চাচই ধানাইড় গ্রামে অবস্থিত। প্রথমে এ প্রতিষ্ঠানটি মাদ্রাসা হিসাবে গড়ে উঠলেও বিদ্যালয়টি নানা চড়াই শুতরাই পেরিয়ে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি ০১/০১/১৯৫৮ খ্রিঃ তারিখে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং উক্ত তারিখ হতেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়ে ( ম্যাট্রিকুলেশন ) বর্তমান ( এস এস সি পরীক্ষা ) পরীক্ষা দেবার সুযোগ লাভ করে, তখন থেকে অদ্যবধি প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনামের সাথে সুষ্ঠভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গঠনের পিছনে অত্র এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের যথেষ্ট অবদান রয়েছে । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম আহমেদ ফকির । তিনি সর্বপ্রথম বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পরবর্তীতে মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন ফকির মোঃ হাফিজার রহমান ফকির ও মোঃ ছলেমান ফকির - চার দানশীল ব্যক্তি সর্ব মোট বিদ্যালয়ের অনুকূলে ২৮৮ শতাংশ জমি দান করেন। যার দলিল, মিউটেশন,  খাজনা হালনাগাদ করা আছে, এছাড়া বিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য ধানাইড় গ্রামের ধনাঢ্য সম্ভ্রান্ত ব্যকি মোঃ কওছার উদ্দিন ভূঁইয়া  বিদ্যালয় তহবিলে তৎকালীন সময়ে নগদ ১০,০০০/- ( দশ হাজার ) টাকা অনুদান প্রদান করেন। আড়িয়ারা গ্রামের ডাঃ আহমেদ হোসেন, চাচই ধানাইড় গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন মোল্যা বেলটিয়া গ্রামের রাশেদ হোসেন মোল্যার অবদান অপরিসীম। এছাড়া অত্র এলাকার সাধারন জনগণ বিদ্যালয়টি  প্রতিষ্ঠা রক্ষনাবেক্ষণে যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন বর্তমানে আধুনিক শিক্ষা অনিষ্ঠানে ১৪ জন, এমপিন্তভূক্ত  শিক্ষক, ০২ জন খন্ডকালিন শিক্ষাক এবং ৩য় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সহ সর্বমোট ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন । বর্তমান শিক্ষার্থীর  সংখ্যা ৫৫০ জন। প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। এটি এ অঞ্চলের হতাশাগ্রস্থ ও পিছিয়ে পড়া জনগণের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবার একমাত্র মাধ্যম। তাই প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন ফলাফল ভাল করে মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে- একটি সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক- এটাই এ অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের প্রত্যাশা ।